ভূপতিনগর বিস্ফোরণে পুলিশের এফআইআর নিয়ে বিরাট অসংগতি

ভূপতিনগর বিস্ফোরণে পুলিশের এফআইআর নিয়ে বিরাট অসংগতি

ভূপতিনগর বিস্ফোরণ। সেই বিস্ফোরণ নিয়ে এফআইআর করেছিল পুলিশ। তবে এনআইএর তদন্তে দেখা গিয়েছে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে সেই এফআইআরের বয়ান মিলছে না। আর এই যে ফারাক এটা কোনওভাবেই আচমকা হয়েছে এমনটা নয়। এমনকী দুর্ঘটনাক্রমেই এই ফারাক হয়ে গিয়েছে এমনটাও নয়। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। 

এনআইএর আইনজীবী শ্য়ামল ঘোষ জানিয়েছেন, ভূপতিনগর বিস্ফোরণের পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও এফআইআরে মধ্য়ে অনেকটা ফারাক রয়েছে। যেমন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন,২০২২ সালের ২রা ডিসেম্বর রাত ১০টা নাগাদ এই বিস্ফোরণ হয়েছিল। আর সেই রাতে যে এফআইআর করা হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল যে ওই ঘটনাটি হয়েছিল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ। 

সেই সঙ্গেই ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, তদন্তকারী আধিকারিকদের প্রশ্ন করেছিলেন বিচারপতি। তারপরই এনিয়ে এই ফারাকের বিষয়টি সামনে আসে। এদিকে দ্বিতীয় এফআইআরে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বিরাট বিস্ফোরণ হয়েছিল। এর জেরে রাজকুমার, বুদ্ধদেব মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন গুরুতর জখম হন। পরে তাদের হাসপাাতলে মৃত্যু হয়। 

এদিকে আদালতে শুনানির সময় এনআইএ এনিয়ে প্রশ্ন করা শুরু করেছিল তার জবাবে প্রত্যক্ষদর্শীরা সেই সময় জানিয়েছিলেন, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ওখানে এই পরিস্থিতি হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এফআইআর আর প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান মিলছে না কিছুতেই। এনিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে যে এফআইআর পরে হয়তো বদল করা হয়েছিল। 

এদিকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। বাঁকুড়ার সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বলেছিলেন, ‘আপনার (নরেন্দ্র মোদী) এক পকেটে এনআইএ থাকে, অন্য পকেটে সিবিআই থাকে। এক পকেটে ইডি থাকে তো, অপর পকেটে আয়কর দফতর থাকে। এনআইএ অর সিবিআই, বিজেপি কা ভাই-ভাই। ইডি আর ইনকাম ট্যাক্স (হল) বিজেপির ফান্ডিং বক্স। এই তো চলছে। তারপর আপনি হুমকি দিচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘কাকে হুমকি দিচ্ছেন আপনি? আমাদের পাঁচজন ছেলেকে গ্রেফতার করা হলে তাঁদের স্ত্রী রাস্তায় নামবেন। আমাদের এজেন্টকে গ্রেফতার করছেন। যদি জনতার রায় নিয়ে জয়ের হিম্মত থাকে আপনার, তাহলে কেন গ্রেফতার করছেন আমাদের ছেলেদের?’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘রাত তিনটের সময় গিয়ে মহিলাদের উপর হামলা চালায়। আর পাঁচটার সময় পুলিশকে জানাচ্ছে। এটা কি কোনও উপায় নাকি।’

অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ পালটা বলেছিলেন,  ‘মধ্যরাত হোক বা শেষরাত হোক, যখন দরকার হবে, তখন চোরেদের বাড়িতে ইডি, সিবিআই, এনআইএ যাবে। যারা রাষ্ট্রদ্রোহী, যারা বোমা-বন্দুক নিয়ে দাপাচ্ছে, মানুষকে মারছে, বিদেশের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে, তাদের মাটির তলা থেকে খুঁজে বের করবে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার। কেউ বাঁচবে না।’

West Bengal