মুখ থেকে জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার নিদান

মুখ থেকে জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার নিদান

বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই এবার বিজেপি সাংসদের জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার নিদান দিলেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি। এমনকী সমাজ ছাড়া করার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। মালদার বামনগোলাতে তৃণমূল কংগ্রেসের এক পথসভায় এই ভাষাতেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন বিধায়ক। পথসভা থেকে বক্তব্য রাখার সময় তিনি বলেন, ‘খগেনবাবু পাঁচ বছরে সাংসদ কোটায় ২৫ কোটি টাকা পান। কিন্তু আমি বলছি, তিনি ৩৫ কোটি পান। সাংসদ কোটায় পাঁচ বছরে ২৫ কোটি টাকা। আর ১০–১৫ বছর ধরে উনি এলাকার বিধায়ক ছিলেন। সুতরাং উনি ৩৫ কোটি টাকা পান। কত টাকা কমিশনে সেই টাকা বিক্রি করেছেন কন্টাক্টারদের কাছে। সেই ৩৫ কোটি টাকা কোথায়? হিসেব দিতে হবে।’‌

এরপরই মানুষ জিভ ছিঁড়ে নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি। তিনি বলেন, ‘‌বদনাম করছেন। ৩৫ কোটি টাকা কত টাকার কমিশনে বিক্রি হয়েছে তার হিসাব দিতে হবে। খগেনবাবু বড় বড় আওয়াজ তুলছেন। মানুষ কিন্তু এবার ছেড়ে কথা বলবে না। যে মুখ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন, যে মুখ দিয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন, সেই মুখ থেকে জিভটা টেনে ছিঁড়ে বের করে মানুষ প্রমাণ করবে যে মানুষ আপনাদের সঙ্গে নেই। আমরা বুক চিতিয়ে বলে যাচ্ছি আজকে এই কলোনির হাটে যে রাস্তা হয়নি এখানে কেন্দ্রীয় সরকার যত বঞ্চনাই করুক, খগেন মুর্মু যত বঞ্চনা করুক, সমস্ত রাস্তা তৃণমূল কংগ্রেস করবে।’‌

এদিন একের পর এক পরিষেবা তৃণমূল কংগ্রেস দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মালতিপুরের বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি। তাঁর কথায়, ‘‌যাঁরা বার্ধক্য ভাতা পাননি তাঁদের কাজ তৃণমূল কংগ্রেস করবে। যাঁরা বাড়ি পাননি তাদের ব্যবস্থা তৃণমূল কংগ্রেস করবে। আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৪ বছরের একটা সরকার, যে সরকার মানুষের মেরে ফেলার কাজ করেছিল, সেই ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে উপড়ে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। কেন্দ্রের এই সরকার কয়েক বছরের সরকার। যে সরকার আমাদের ভাই–ভাইয়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। আমরা জাতপাতের রাজনীতি করি না। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। এটা বামনগোলার মানুষ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুটো জেলা পরিষদ, ৫টা গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি জিতিয়ে প্রমাণ করেছেন যে খগেনবাবু বিজেপির স্থান বামনগোলের মাটিতে আর নেই।’‌

আর কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?‌ বিজেপি নেতাদেরও এদিন তুলোধনা করেছেন বিধায়ক। এদিন বক্সির বক্তব্য, ‘বামনগোলার বিজেপি বন্ধুরা তাদের সঙ্গে আমাদের কোনও লড়াই নেই। কারণ ফাঁকা মাথা, খালি হাত তাদের সঙ্গে আমাদের কোনও লড়াই নেই। সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হাত শক্তিশালী করতে এই লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা সাংসদ কোটার টাকা কমিশনে বিক্রি করে খায় তাদেরকে ছুঁড়ে ফেলতে হবে সমাজ থেকে। নতুন সাংসদ তৈরি করব আমরা। উত্তর মালদায় ২০২৬ সালে আমরা নতুন বিধায়ক তৈরি করব। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এই শপথ আমরা করি’।

Politics West Bengal