কোনও পরীক্ষাগার থেকে কোভিড ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা মোটেই উড়িয়ে দেওয়া ঠিক নয়। বরং এই ঘটনা কিছুমাত্র অস্বাভাবিক নয়। এমনটাই জানালেন চিনের বিশ্ববিখ্যাত ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জর্জ গাও। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেও তিনি চিনের শীর্ষস্তরের সরকারি গবেষকদের মধ্যে একজন ছিলেন। ২০২০ সালে ব্যাপকভাবে করোনা ছড়ানোর পর থেকেই এমন একটি জল্পনা শুরু হয়েছিল। উহানের গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা ভাইরাস- এমন একটি গুজবই রটে গিয়েছিল সারা বিশ্বে। এই নিয়ে এখনও যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। এর মাঝেই বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জর্জ গাও।
কিছু দিন আগেই চিনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। এই দিন বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক গাও বলেন, ‘সবকিছুকেই সন্দেহ করা উচিত। এটাই বিজ্ঞান। কোনও সম্ভাবনাকেই উড়িয়ে দেওয়া ঠিক নয়।’ ওয়াকিবহল মহলের মতে, এই কথা বলে উহানের বিতর্ককেই উস্কে দিলেন প্রবীণ বিজ্ঞানী। কোভিডকালে চিনে ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে বড় ভূমিকা পালন করেছেন অধ্যাপক জর্জ গাও।
এই দিন তিনিই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সারা বিশ্বে ওঠা অভিযোগের জেরে উহানের ওই গবেষণাগারে সরকারের তরফে তদন্ত করা হয়েছে। চিনের সরকারও এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে বলেই জানান ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জর্জ গাও। তবে একইসঙ্গে তিনি যে জড়িত ছিলেন না তদন্তে, সে কথাও জানান জর্জ। যে সময় জর্জ সিডিসিতে ছিলেন, সেই সময় কোনওভাবেই সিডিসিকে এই তদন্তে ডাকা হয়নি বলেই জানান তিনি। তাহলে কি সরকারের অন্য কোনও দফতর থেকে এই তদন্ত করা হয়? তারও জবাব দেন তিনি। ইতিবাচক জবাব দিয়ে বলেন, চিন সরকারের তরফে অন্য দফতরের সাহায্যে এই তদন্তের কাজ পরিচালনা করা হয়েছিল। একবার নয়, দুবার এই তদন্ত করা হয়েছিল বলে জানান জর্জ। সেই তদন্তের রিপোর্ট কী? জর্জ নিজে চোখে রিপোর্ট না দেখলেও তাতে নাকি ক্লিনচিট দেওয়া হয় ওই গবেষণাগারকে। এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন না তুলে বরং এতেই বিশ্বাস করতে চাইছেন তিনি। তাঁর কথায়, তদন্ত হয়েছে মানে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই তা করা হয়েছে বলে বিশ্বাস জর্জের।